মেনু নির্বাচন করুন

স্কুলের ইতিহাস

প্রাচ্যর ড্যান্ডি নামে খ্যাত নারায়ণগঞ্জ জেলার, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সর্বপ্রথম ঐতিহ্যবাহী “গোদনাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের ইতিহাস।বিদ্যালয়টি শুরুর দিকে মীরের স্কুল নামে পরিচিত ছিল । যার প্রতিষ্ঠা কাল ছিল আনুমানিক ১৯৩৪ সাল। বৃটিশ শাসনাধীন মানুষ ছিল কুসংস্কারাচ্ছন্ন, ভ্রান্ত ধারণায় পথ হারিয়ে ব্যস্ত ছিল জীবন-জীবিকার তাগিদে । Good Nil থেকে Godnail এলাকায় ছিল না শিক্ষার কোন আলো । এই অন্ধকার যুগে শিক্ষার আলো ও এলাকার উন্নয়নে আলো জ্বালাতে এগিয়ে এলেন মীর আব্দুল ওয়াহেদ (টি.কে)।যাকে জনগণের খেদমতের জন্যে তৎকালীন পূর্বপাকিস্তানের গর্ভণর তাকে “টি.কে” উপাধী দিয়েছিলেন।বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেক কষ্ট করে এ স্কুলে পড়তে আসত শিক্ষার্থীরা ।১৯৫০ সালে এই মীরের স্কুলটি “গোদনাইল উচ্চ বিদ্যালয়”নামে স্বীকৃত লাভ করে ।সভ্যতার বিকাশে শিক্ষা ছড়িয়ে দেয়ার জন্য বিদ্যালয়টি প্রসারিত হয় তিনটি শাখায়।মেয়েদের জন্য প্রভাতি শাখা,ছেলেদের জন্য দিবা শাখা ও মিলের কর্মচারীদের জন্য নৈশ শাখা চালু হয়। দিন দিন বাড়তে থাকে শিক্ষার্থীর সংখ্যা। স্কুলটি স্থানান্তর করা হয় নিজ বাড়ি থেকে বর্তমান স্থানে ১৮ই অক্টোবর,১৯৬৩ ইং রোজ শুক্রবার , বাংলা-৩১ শে আর্শ্বিন,১৩৭০ সালে,বেলা ২.৩০টা,যার নাম করণ করেন “গোদনাইল উচ্চ বিদ্যালয়” তাছাড়া স্কুলটি সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য ডি.এন.ডি বাধের ভিতরে আরো ৫ বিঘা জমি লিখে দেন স্কুলের নামে।এই স্কুলটি হতে শিক্ষা লাভ করে অনেকেই বাংলাদেশের বিভিন্ন অফিস আদালতে উচ্চ পদে অধিষ্ঠিত রয়েছেন।যাদের মধ্যে সাবেক শিক্ষা সচিব ও বর্তমান জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব ড. কামাল আব্দুল নাছের চৌধুরী অন্যতম। প্রতিবছরে জে.এস.সি ও এস.এস.সি পরীক্ষায় অ^+ সহ ভাল ফলাফল অর্জন করে আসছে।প্রতিষ্ঠানের সুনাম রক্ষার জন্য স্কুলের গঠনমূলক পরার্মশ ও দোয়া কামনা করছি।